This post provides some important guidelines that helps the people who want to join and have already joined SERC Bangladesh as a volunteer or member.
Space and Environment Research Center (SERC), Bangladesh –কে আমরা বাংলায় মহাকাশ ও পরিবেশ গবেষনা কেন্দ্র, বাংলাদেশ বলে থাকি। আমার একটা মিশন Youth Action on Space Program (YASP) এর একটা অংশ হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৪ সালে SERC এর যাত্রা শুরু হয়। ২০১৬ সাল থেকে এটি একটি স্বাধীন ও স্বায়ত্বশাষিত গবেষণা সংগঠন হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আমাদের একটা উদ্যোগ হলো মেম্বারশীপ ব্যবস্থা যার মাধ্যমে আমাদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং পেশাজীবীবারা যুক্ত হতে পারেন। এটা মূলত একটা নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা যারা মাধ্যমে SERC-তে আমাদের বিভিন্ন বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের সাথে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের মধ্যে গবেষনা ও উন্নয়ন, বিভিন্ন কর্মসূচি, প্রকল্প, এবং অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটা প্রফেশনাল সম্পর্ক তৈরি হয় যা ক্যারিয়ার গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে পারে।
কিভাবে
SERC-এর সাথে যুক্ত হওয়া যায়-How to Join SERC Bangladesh?
বছরে দুইবার আমরা মেম্বারশীপের
অফার দিয়ে থাকে। একটা হলো গ্রীষ্মকালীন সেশন (Summer Session) এবং অন্যটি হলো শীতকালীন সেশন (Winter Session)। দুই
সেশনেই প্রথমে একজন সেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিতে হয়। তারপর উচ্চস্তরের মেম্বারশীপের
(Upper Grade Membership) জন্য আবেদন করতে হয়। নিচে
ক্রময়ানুসারে মেম্বারশীপ এর হলো ক্যাটাগরি
উল্লেখ করা হলো-
Volunteer
Student Member
Associate Member
Member
Senior Member
Fellow Member
Life Member (Special Category)
SERC এর Membership বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এখানে ভিজিট করুন।
প্রতি বছরের জানুয়ারি মাসে
গ্রীষ্মকালীন সেশনের জন্য সেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দেয়ার জন্য আবেদন করতে হয়। তারপর
সেচ্ছাসেবকেরা আমদের বিভিন্ন কর্মকান্ডে সরাসরি কাজ করার সুযোগ পায়। এরই মধ্যে আমাদের
বিভিন্ন কর্মশালা ও বুটক্যাম্পের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবকেরা গবেষণা পদ্ধতি,
উচ্চশিক্ষা বিষয়ক প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করার
সুযোগ লাভ করে থাকে। তারপর জুন মাসে Upper Grade মেম্বারশীপের জন্য আবেদন করতে
পারে। একইভাবে শীতকালীন সেশনে সেচ্ছাসেবকের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় জুলাই মাসে।
তারপর Upper Grade মেম্বারশীপের শুরু হয় ডিসেম্বর মাসে।
SERC –তে যেভাবে আবেদন করতে হয়-How to Apply SERC for Membership ?
যেকোন সেশনে সেচ্ছাসেবকের আবেদনের সময় আমাদের নির্ধারিত গুগল ফরমের মাধ্যমে আবেদন করতে হয় । আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হলে ফরমের লিংক আমাদের ওয়েবসাইট এবং ফেসবুকের পেইজে পাওয়া যাবে। সেখানে গুগল ফরমে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। তারপর আমাদের রিভিউ কমিটি দ্বারা আবেদন যাচাই বাছাই করার পর যারা নির্বাচিত হয় তাদেরকে মেম্বারশীপের অফার লেটার পাঠানো হয়। আমরা আবেদন ফরমের একটি অংশ বেশ গুরুত্ব দিয়ে থাকি আর সেটা হলো “আপনি কেন এখানে যোগ দিতে চান” এমন একটা প্রশ্নের উত্তর। আবেদনকারীদের এই উত্তরটা বেশ ভালো করে দিতে হবে।
এবার আসি Upper Grade মেম্বারশীপের আবেদনের ব্যাপারে। এই সময় সেচ্ছাসেবক যারা এই মেম্বারশীপে আবেদন করতে চায় তাদেরকে তাদের সিভি, মোটিভেশন লেটার বা স্টেটমেন্ট অব পারপস এবং একটি রিসার্চ প্রপোজাল আমাদের ইমেইলের মাধ্যমে জমা দিতে হয়। সেখানে Upper Grade এর কোন মেম্বারশীপের জন্য আবেদন করতে চায় সেটা উল্লেখ করে দিতে হবে। আবেদনের সব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যাচাই বাছাই করে নির্বাচিতদের অফার লেটার পাঠানো হয়।
মেম্বারশীপ মুল্যায়ন পরীক্ষায় প্রার্থীর নিচের বিষয়গুলো মূল্যায়ন করা হয়-
১. SERC-তে সেচ্ছাসেবী কর্মকান্ড
২. CV
৩. Motivation Letter
৪. Research Proposal
আবেদন প্রক্রিয়ার সময় আমরা বেশকিছু বিষয় খেয়াল করেছি যা আবেদনকারীরা করে থাকে। যেমন- অনেকেই ঠিকমত ইমেইল লিখতে পারেনা । ইমেইল ঠিকমত লিখতে না পারলে প্রথমেই আবেদনকারীদের সম্পর্কে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে । ইমেইল লেখার বিষয়ে এখানে ধারণা দেওয়া হয়েছে। যেকেউ একবার পড়ে নিতে পারে। সিভি কিংবা মোটিভেশন লেটার লেখার ক্ষেত্রেও দেখা যায় অনেক ভুল। এগুলো কিভাবে লিখতে হয় সে বিষয়ে এখানে পড়ে নিতে পারেন। আবেদনের সব ডকুমেন্টের মধ্যে সব থেকে বেশী গুরুত্বপূর্ন হলো রিসার্চ প্রপোজাল । এখানেও থাকে প্রচুর ভুল। আমরা নিয়মিত এই বিষয়ে বিভিন্ন কর্মশালা ও সেমিনার করে থাকি। আগ্রহীরা নিয়মিত এখানে শিখতে পারবে।
Want to learn Research Methods? Register Now |
রিসার্চ প্রপোজাল লেখার ক্ষেত্রে আবেদনকারীরা একটা বিষয় অনুসরন করতে পারে। আমার কাছে এই পদ্ধতি বেশী উপযোগী বলে মনে হয়। আর সেটা হলো আবেদনকারীরা আমাদের যে গবেষণা বিভাগে যুক্ত হয় সেই বিভাগে যারা বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আছে যাদের বিভিন্ন প্রকল্প চালু করা আছে তাদের সাথে আগে থেকে গবেষণার বিষয়ে আলোচনা করে সেই বিষয়ে রিসার্চ প্রপোজাল লিখতে পারে। আমার সাথে আমার Remote Sensing Lab (MKRS Lab)- এ যুক্ত হতে চাইলে ল্যাব ওয়েবসাইটে গিয়ে সেখানে আমার বিভিন্ন প্রকল্প আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। এছাড়া Analytic নামের এই সাইটে গিয়ে সেখানকার বিভিন্ন আর্টিক্যাল রিভিউ করে গবেষণার টপিক নির্বাচন করতে পারেন। এছাড়া এখানে সেচ্ছসেবকদের নিজ নিজ গবেষনা বিভাগের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো, রিসার্চ ফেলো কিংবা গবেষনা সহকারী হিসেবে যারা যুক্ত আছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করেও দিকনির্দেশনা পেতে পারেন। সবথেকে বড় কথা শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা ও চিন্তা করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। এখন হাতের মুঠোই ইন্টারনেট। অনেক অনেক রিসোর্স আছে সেগুলো খুজতে হবে, পড়তে হবে অ্যার শিখতে হবে। লেখালেখির অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এটা বেশ কাজে দেয়। যারা SERC - তে Upper Grade Membership পায় তারা আমাদের বিভিন্ন গবেষনা প্রকল্পে কাজের সুযোগ পেতে পারে তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী। SERC মেম্বারশীপ সম্পর্কিত তথ্য পাবেন এখানে।
SERC – তে গবেষনা সহকারীদের
সুযগ-সুবিধাসমূহ-Opportunity in SERC
Research Assistant/Research Fellow/Senior Research Fellow/Internship Opportunity
Benefit
- Enriching engineering and research skills
- Publications in high impact journals with
internationals colleagues as co-authors
- Monthly stipend
- Rewarded remuneration if
papers are published in high impact (IF 2+) peer review journals
- Networking with international research and academic
professionals
- Opportunity to get letter of recommendation from
international academics
- Career opportunity at SERC and its collaborative
partner organizations based on your performance
Student Membership প্রাপ্তরা আমাদের বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পে গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজের
সুযোগ পায় । এর জন্য আমাদের যে গবেষণা বিভাগে প্রকল্প চালু আছে সেই প্রকল্প
প্রধানের সাথে আলোচনা করে প্রকল্প প্রধান গবেষণা সহকারী হিসেবে নেওয়ার জন্য
সুপারিশ করলে সেই শিক্ষার্থীকে ঐ গবেষণা গ্রুপে গবেষণা সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া
হয়।
বিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি শিক্ষার্থীরা সেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর মেম্বারশীপ মুল্যায়ন পরীক্ষা পর্যন্ত নিজেদের ধরে রাখতে পারেনা । অনেকেই হারিয়ে যায়। খুবই কম সংখ্যক Volunteer শিক্ষার্থী Student Membership এর জন্য আবেদন করে । যারা আবেদন করে তাদেরকে মূল্যায়ন করে তাদের মধ্যে খুব কমসংখ্যক শিক্ষার্থী পাশ করে । Student Membership প্রদান করার পর দেখা যায় প্রার্থী যে প্রকল্পে আবেদন করেছে সেখানে কাজ করার জন্য যেধরনের একাডেমিক ও টেকনিক্যাল দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দরকার সেগুলো অনেকের থাকেনা । ফলে সকল Student Member কে গবেষণা প্রকল্পে নেওয়া হয়না । দক্ষতা অর্জন করে আবার প্রকল্প প্রধানের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়।
গবেষণা
সহকারী হিসেবে আমাদের বিভিন্ন গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলোয় কাজ করতে চাইলে শিক্ষার্থীদের
প্রতি আমার কিছু পরামর্শ এবং দিকনির্দেশনা হলো-
প্রথমত, জ্ঞান অর্জনে নিজের আগ্রহ আর উদ্দীপনা থাকতে হবে। নিজেকে স্মার্ট হিসেবে তৈরি করতে হবে। যোগাযোগ দক্ষতা ভালো হতে হবে। অভিজ্ঞতায় দেখেছি অধিকাংশ শিক্ষার্থী কিভাবে ইমেইলে করতে হয় সেটা জানেনা। কিন্তু এটা বর্তমানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একটা বিষয়। কিভাবে ইমেইলে যোগাযোগ করতে হয় সেটা আমার ব্লগে লিখে রেখেছি। এখানে পড়া যাবে।
সুন্দর
একটা একেডেমিক সিভি তৈরি করা প্রয়োজন। এটা সবসময় হালনাগাদ থাকতে হবে। অপ্রয়োজনীয়
তথ্য না রেখে যতটুকু দরকার বা যা চাওয়া হচ্ছে সেটা রাখা জরুরী। R&D প্রতিষ্ঠানগুলো
কিংবা বিদেশের বিশবিদ্যালয়গুলো সিভিতে বাড়ি, বাবা-মার পরিচয়, ব্লাডগ্রুপ, এসএসসি
বা এইচএসসির রেজাল্ট এগুলো নিয়ে মাথা ঘামায়না । তাই সিভিতে এগুলো না দেওয়ায় ভালো।
SOP
বা মোটিভেশন লেখার ক্ষেত্রে আমরা বুটক্যাম্প আয়োজন করি । এছাড়া
শিক্ষার্থীরা বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ঘুরে আসলে এ সম্পর্কিত
অনেক সুন্দর সুন্দর তথ্য পাবে। এরপরেও আমরা নিয়মিত এগুলো নিয়ে আলোচনা করি । SOP
বা মোটিভেশন লেখার সময় কখনোই কপি পেস্ট করা যাবেনা।
একটা
রিসার্চ প্রপোজাল আমাদের এখানে একটা গুরুত্বপূর্ন জিনিস। একদিনে হুট করেই এটা লেখা
যায়না । আমাদের গবেষণা পদ্ধতি বিষয়ক বিভিন্ন কর্মশালায় উপযোগী করে রিসার্চ
প্রপোজাল লেখা নিয়ে আলোচনা করা হয় । এছাড়া নিয়মিত আমাদের ফেসবুক গ্রুপে আমরা
আলোচনা করি। তোমরা আগে তোমাদের একাডেমিক ভিত্তি তৈরি করো । তা নাহলে শুধু গবেষণা
পদ্ধতি শিখে তো লাভ নেই। নিজের পড়ার বিষয়ে বেশ জ্ঞান অর্জন করা প্রয়োজন যা তোমাদের
বিশ্ববিদ্যালয় শেখাবে। গবেষণা পদ্ধতি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিভাগে পড়ায়
আবার কোথাও পড়ায়না। এটা নিয়ে খুব সমস্যা হবেনা কেননা আমরা এ বিষয়ে বিভিন্ন কর্মশালা আয়োজন করি সেখান থেকে শেখা যাবে। গবেষণা শুরু করলে কাজ করতে করতে আরো
গভীরে যাওয়া যাবে। আমি অবশ্য একটা উদ্যোগ নিয়েছি বাংলায় গবেষণা পদ্ধতি বিষয়ে ধারণা
দেওয়ার জন্য আমার এই ব্লগে ধারাবাহিকভাবে একটা বই আকারে অধ্যায়ভিত্তিক আলোচনা করবো। আর একটা
গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো নিজ নিজ গবেষণা বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, গবেষক ফেলো, গবেষণা সহযোগী/সহকারী,
Student Member বা Volunter দের সাথে নিয়মিত যোগযোগ রাখা। এতে করে গবেষনা বিভাগগুলোতে কি কি কাজ হচ্ছে, নতুন নতুন কি যুক্ত হচ্ছে সেগুলো জানা যাবে এবং
নিজেকে সে অনুযায়ী তৈরি করা যাবে। নিয়মিত SERC- এর ওয়েবসাইটে ঘুরে ঘুরে দেখতে হবে
যাতে করে আমাদের বিষয়ে আপডেট থাকা যায়। আমাদের ফেসবুকে একটা গ্রুপ আছে । এটা একটা
বেশ ভালো কমিউনিটি যেখানে আমরা সবাই আছি এবং দেশে বিদেশের অনেকেই যারা আমাদের সাথে
সরাসরি যুক্ত নয় তারাও আছে । সুতরাং এখানে আলোচনায় অনেক কিছু শেখা যাবে।
যাইহোক,
লেখাটি অনেক বড় হয়ে গেলো । এটা আমার ব্লগে রেখে দিচ্ছি যারা বর্তমান সেচ্ছাসেবক
শিক্ষার্থী এবং ভবিষ্যতে যারা যুক্ত হবে তারা এটা আমাদের এখানে কাজ করার একটা
দিকনির্দেশনা হিসেবে যেকোন সময় পড়তে পারে।
শুভকামনা
রইলো সবার জন্য ।
আরো পড়ুনঃ সহশিক্ষা কার্যক্রমের গুরুত্ব- Importance of Extracurricular Activities in Resume for Freshers
0 মন্তব্যসমূহ